মুহাম্মাদপুরে ভণ্ডদের দৌরাত্নঃ মূলোৎপাটনে ওরাসাতুল আম্বিয়া উলামা ও তালাবাদের সতর্ক দৃষ্টি আকর্ষণ

লিখেছেন লিখেছেন মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৯:৪০:৩৪ রাত





এক.

গন্তব্যহীন চলাফেরা আর হাটাহাটির কারণে খ্যাতিলাভ কারী বিশিষ্ট ভন্ড হায়দার বাবা বা হাঁটা বাবা। বাবা বিশেষণটি তার পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট। ঢাকার মুহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে তার একটি আখড়া আছে। মুহাম্মদপুর ও এর আশেপাশের এলাকার অনেকেই তাকে চেনে। তার সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে, সে দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত করে নাই। গোসল ও পানি ব্যবহার না করার কারণে মাথায় জটের বাহার ছিল। এক কথায়, সে ছিল নোংরা ও অপরিচ্ছন্নের ভ্রাম্যমান একটি ডাস্টবিন। হাঁটতে হাঁটতে একবার ম্যানহলে পড়ে মানবীয় বর্জ্য সারা শরীলে মেকাপ হয়ে যায়। ক্র্যান দিয়ে তুলে শরীরে পানি মারা হয়। এটিই তার বাবা কালিন জীবনের উল্লেখযোগ্য গোসল। দুর্গন্ধে মাছিও তার কাছ থেকে একশ হাত দূরে থাকত। তার সাথে কিছু পাগল-ছাগলও ঘুরত। তার উচ্ছিষ্টভুগি কিছু লোক এবং প্রতিবেশীদেরকে তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, এই ব্যক্তি জীবনে নামাজ পড়া তো দূরের কথা কেউ কোনদিন তাকে আল্লাহর নামও বলতে শুনেনি। গত ১৩/০৩/২০১৪ রোজ বৃহস্পতিবারে তথাকথিত এই হাঁটা বাবা মারা যায়। কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মূর্খ তাকে মুহাম্মদপুর গোরস্তান-মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের ভিতরে কবর দিয়ে মজার শরীফ(মাযার) বানানোর প্ল্যান করলে ঐ এলাকার জাপার নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টু ভাইয়ের দৃঢ়তায় মাঠ সংলগ্ন কবরস্থানে মাটি দিতে বাধ্য হয়। আশা ছিল কবরস্থানে মাটি দেয়া হলে তাদের পক্ষে মাযার তৈরী করা সম্ভব হবে না। কিন্তু তার কবরের কাছে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার রেখে যাওয়া দক্ষিণসূরি-পাগল ছাগলেরা তার কবরকে মজারের রূপ দিয়ে দাড়িয়ে মজার সঙ্গীত গাইছে। “ইয়া হায়দার, সালাম আলাইকা। ইয়া বাবা, সালাম আলাইকা।........... রাসুল স. কে আর কত অবমাননা করলে আমাদের মন কাঁদবে ? অন্তর শিহরিত হবে ? প্রশ্নের কি জবাব মিলবে ?

দুই.

গতকাল সরেজমীনে গিয়ে দেখা যায় কবরস্থানের উত্তর-পূর্ব কর্ণারের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে ঈদগাহ মাঠের ভিতর দিয়ে মাযার জিয়ারতের নামে মাযার পুজার ব্যবস্থা করেছে।এবং ঈদগাহ মাঠের ভিতরে সামিয়ানা টানিয়ে দিনদিন এর পরিধি বাড়িয়ে চলছে। উপরে লিখে দিয়েছে হযরত হায়দার আলী শাহ বাবা গাশতে আলম রহ. এর দরগাহ শরীফ। আমাদের দেশে এ ধরনের ছোট বড় বাবাদের সংখ্যা লাখের কোটা দিয়ে গুনতে হয়। আর দেশে আরেক বাবাদের শাসনের দরূন বর্তমানে এদের স্বর্ণ যুগ চলছে।এই বাবারা আর ঐ বাবারা মিলে সখি-সখার দরহম মরহম সম্পর্ক।এদেশের মানুষের ঈমান ও আমল চোরদের মধ্যে এরা সবচেয়ে শক্তিশালী।মূর্তিকে সামনে রেখে পূজা-আর্চনা করা আর বাবার সান্নিধ্য পাওয়া একই কথা। আল্লাহর জাত ও সিফাত এবং রাসুল স.এর শানে চরম অবমানান এদের প্রধান পূজি। অনেক ক্ষেত্রে এরা আল্লাহর সাথে শরীক করে বসে। এদের মুখোশ সরলমনা মুসলমানদের সামনে উম্নেচিত হওয়া উচিত যাতে তারা নিজেদের ঈমান ও আমল হিফাজত করতে পারে।

এ ব্যাপারে ওরাসাতুল আম্বিয়া উলামা ও তালাবাদের সতর্ক দৃষ্টি আকর্ষণ কামনায় আজকের এ পোস্ট।

বিষয়: বিবিধ

১২৩৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

196787
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কবি জসিমউদ্দিন এর বাঙ্গালির হাসির গল্প এর একটি সংগ্রহ "শেয়ালশা পিরের দরগা"। দুই শত বছর পরেও আমরা এখনও অন্ধ।
২৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:২৪
146969
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : ঠিক বলেছেন।
196807
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪৪
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কবি জসিমউদ্দিন এর বাঙ্গালির হাসির গল্প এর একটি সংগ্রহ "শেয়ালশা পিরের দরগা"। দুই শত বছর পরেও আমরা এখনও অন্ধ।
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
147068
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : ঠিক বলেছেন।
196893
২৪ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৩৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওই গু বাবা তাইলে মরছে। ভাল লাগল। লোকটাকে দেখে ঘৃনা করত। সে তো পাগল ছিল। তবে তার আশপাশের লোক ছিল ধান্দাবাজ। আসলে সকল মাজারের রহস্য এরকমই। কিছু ধুরন্দর মানুষ এটা চালু করেছে। পিটিয়ে উইকেট ফেলে দিলে রাতারাতি এসব বাবারা বাধ্য সন্তানে পরিনত হবে...
২৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:২৮
146971
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : একটু বুঝে শুনে উইকেট ফেলতে হবে।
197001
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন :
[img]http://www.onbangladesh.org/blog/bloggeruploadedimage/Khan shaheb/1395642724.jpg[/img
এই সেই ভণ্ড
197448
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০৫
মাহমুদ আরিফ লিখেছেন : এদের শেকড় খুব গভীরে নয়, তবে ডাল-পালা বহুদূর বিস্তৃত! সুতরাং শেকড়টা উপড়ে ফেললেই কেল্লা ফতেহ..…
২৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৩
147728
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : হুমম... ঠিক বলেছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File